মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৪ অপরাহ্ন
রফিকুল হক শিকদার জাহাঙ্গীর
ঢাকা সাভার, ২৬ মার্চ, ২০২৩ ইং মহান স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছে জাতি। আজ রোববার সকালে সভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে আসা বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের ঢল নামে।
বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ৫২তম বার্ষিকীতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার ভোর ৫টা ৫৭ মিনিটে দিনের প্রথম প্রহরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতায় ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান। শহীদ বেদীতে প্রথমে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির পরপরই জাতির বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
দলের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান ও খাইরুজ্জমান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুল-উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, সাংগঠনকি সম্পাদক আহমদ হোসেন, প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ এবং সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এরপর স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক, মন্ত্রীপরিষদবর্গসহ গণমান্য ব্যাক্তিবর্গ জাতীর সূর্য সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের শ্রদ্ধা জানানো শেষে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানার নিয়ে জনতার ঢল নামে জাতীয় স্মৃতিসৌধে। এরপর একে একে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর বিভিন্ন হল সমূহ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর বিভিন্ন হল সমূহ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাসদ, গন বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, প্রথিমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলা একাডেমিসহ সরকারী-সরকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুলেল শ্রদ্ধা জানান বীর শহীদদের প্রতি।
নিরাপত্তার স্বার্থে স্মৃতিসৌধ ও আশেপাশে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরী করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পোশাকের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও তারা বিভিন্ন স্থাপনা ও সড়ক-মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে নজরদারী করেন। ওয়াচ টাওয়ার ও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো এলাকাকে নজরদারীর আওতায় আনা হয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নজিরবিহীন তৎপরতায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়েই বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান লাখো জনতা।